অবশেষে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। ৬ দলের অংশগ্রহণে এবার হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত হবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এশিয়া কাপে বরাবরই হট ফেভারিটের তালিকায় থাকে ভারত এবং পাকিস্তান। কাগজে কলমেও বেশ এগিয়ে দল দুটি। তবে টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশকেও পিছিয়ে রাখছেন না পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।
গত রবিবার ২৭ আগস্ট এশিয়া কাপের টাইটেল স্পন্সরদের অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে ‘কিং অব সুইং’খ্যাত সাবেক তারকা পেসার ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘গতবার আমরা প্রেডিক্ট করছিলাম ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা কাপ জিতে নিয়ে গেছে। তিন দলই বিপদজনক। যেকেউ নিজেদের দিনে জিততে পারে।’
এদিকে ক্রিকেট মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানেই সমর্থকদের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পায়। এই দুই দল ফাইনাল খেললে ব্যবসায়িক দিক থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই অবস্থা হয়। তাই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও (এসিসি) এশিয়া কাপের সূচি এমন ভাবে সূচি সাজায়, যাতে করে পাকিস্তান ও ভারত ফাইনালে উঠলে তিনবার মুখোমুখি হয়।
তবে এবারের আসরে শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশকেও বাদ দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে ওয়াসিম বলেন, ‘অন্যরাও আছে। গতবার শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হলো। ভারত ফাইনালেও যেতে পারল না। ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি কত সমর্থন, কত নজর কত মানুষ অনুসরণ করে এই ম্যাচে। কিন্তু অন্যরাও খেলতে এসেছে। কাজেই আপনি শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশকে হিসেব থেকে বাদ দিতে পারবেন না।’
এর আগে গত ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের সর্বশেষ ওয়ানডে আসরেও ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল খেলবে ধরে নিয়ে সমর্থক ও আয়োজকদের আবহ ছিল অনেক। অথচ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হটিয়ে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এ ছাড়া ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া এশিয়া কাপের শেষ আসরে ভারতকে টপকে ফাইনাল খেলে শ্রীলঙ্কা। এমনকি শিরোপাও জিতে নেয় তারা।
এমন কী ২০১২ সালে প্রথমবার ফাইনাল খেলা বাংলাদেশ ২০১৬ ও ২০১৮ সালে টানা দুইবার ফাইনালে খেলে। এরপর থেকে আর বাংলাদেশকে হিসেবে না ধরার কোনও যুক্তি নেই। তাই গত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডে ফরম্যাটে দারুণ উন্নতি করা বাংলাদেশকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী এই পাকিস্তানি সাবেক তারকা।
পাকিস্তান স্বাগতিক হলেও নিজেদের ফেভারিট ধরতে পারছেন না ওয়াসিম। এমন কী ভারতকেও। আগামীকাল ৩০ আগস্ট মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নবাগত নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৩১ আগস্ট, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।